Logo

রাজনীতি    >>   শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি

শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি

শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর জন্য ভারতকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই চিঠি প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানিয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে কূটনৈতিক নোট পাঠানো হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন,
"আমরা নিশ্চিত করছি যে আজ বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে একটি নোট ভারবাল পেয়েছি। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করার মতো পরিস্থিতি নেই।"

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এর পর থেকেই মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা দায়ের হয়। এসব মামলায় গুম, ক্রসফায়ার, পিলখানা হত্যাকাণ্ড এবং মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।

গত ১৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এরপর ১৩ নভেম্বর ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির জন্য আবেদন করে বাংলাদেশ পুলিশ।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য ভারতকে জানানো হয়েছে। তিনি বলেন,
"আমাদের সঙ্গে ভারতের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তির আওতায় তাকে ফেরানো সম্ভব হবে।"

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন,
"ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হলো তাকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা।"

এখনও শেখ হাসিনার সুনির্দিষ্ট অবস্থান নিয়ে ভারত কোনো বক্তব্য দেয়নি। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা বিষয়টি পর্যালোচনা করছে।

এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ হলে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক কীভাবে প্রভাবিত হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

ভারতের সাড়া এবং আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিক্রিয়া এখন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert